নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ( World soil day)প্রতি বছর ৫ ডিসেম্বর বিশ^ব্যাপী উদযাপন করা হয়। তারই পথ ধরে, মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শ্যামনগর পাবলিক লাইব্রেরীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের সহযোগিতায় স্থানীয় জনগোষ্ঠী, স্থানীয় সরকার, যুব সংগঠন কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম ও উপকূলীয় শিক্ষা বৈচিত্র্য উন্নয়ন সংস্থা, বিশ^ মৃত্তিকা দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মাটি আমাদের মা। সেই মাটিকে আমরা নানা রকম রাসায়নিক, কীটনাশক ব্যবহার করে মাটির নিজস্ব গুনাবলী নষ্ট করে ফেলছি। ফলস্বরূপ মাটির বন্ধ্যাত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাটি তার উর্বরতা হারাচ্ছে। পৃথিবীকে আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করে রেখে যাওয়ার অঙ্গীকারের প্রেক্ষাপটে মাটি ও পানির গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের খাদ্যের শতকরা ৯৫ ভাগ উৎপাদিত হয় ভূমিতে, যেখানে মাটি ও পানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
বক্তারা আরো বলেন, মাটি ও পানিকে বাদ দিয়ে আমরা আমাদের জীবনকে কল্পনা করতে পারি না, কিন্তু আমরা সেই মাটি সুরক্ষার কথা ভাবছি কোথায়! জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ^বাসী আজ নানমূখী বিপর্যয়ের সম্মূখীন। সেই প্রভাব থেকে বাদ পড়েনি মাটি ও পানি। আমরা উপকূলবাসী এজন্য বেশী ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে লবনাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলে বেড়েছে পানির লবনাক্ততা, মাটি হয়েছে লোনা। ফলে উপকূলীয় এলাকার মানুষের জীবনযাপনে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়। আজ বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসে উপকূলবাসী মাটি ও পানির ন্যায্যতার দাবি করে।
এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কে›ন্দ্রের সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলামের সভাপত্বিতে, উপজেলা কৃষি অফিসার নাজমুল হুদা, শিক্ষক সাংবাদিক রনজিত বর্মন, উপজেলা রিপোটার্স ক্লাবের সভাপতি গাজি আল ইমরান, অনলাইন নিউজ ক্লাবের সভাপতি মারুফ হোসেন মিলন,বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষাণী অল্পনা রানী মিস্ত্রি, উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কেন্দ্রের সাধারন সম্পাদক কুমুদ রঞ্জন গায়েন, বারসিক’র ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্কের মাকসুদা জেরিন, সিডিও ইয়থ টিমের জামাল বাদশা, এসএসএসটি যুব টিমের মো: ইসমাইল হোসেন, বিশ^জিৎ মন্ডল সহ প্রমুখ।
Leave a Reply